পচাম্পালি শাড়ি: এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান সেবিকাদের ব্যবহৃত একটি বিশেষধরণের নকশা করা শাড়ি

Nanjanagar Banana Karnataka
নাঞ্জানাগড় কলা বা নাঞ্জানাগড় রসাবালে-হানু : কর্ণাটক রাজ্যের তৈরী একটি বিশেষ পৃথিবী বিখ্যাত কলা
04/03/2018
Sea Beach in West Bengal Image
How Many Sea Beach are there in West Bengal?
11/09/2018

পচাম্পালি শাড়ি: এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান সেবিকাদের ব্যবহৃত একটি বিশেষধরণের নকশা করা শাড়ি

Pachampally saree wearing rekha image
ভারতের তেলাঙ্গানা রাজ্যের নালগোন্ডা জেলায় এক বিশেষ ধরণের শাড়ি তৈরি করা হয়, এই শাড়িটির নাম পচাম্পালি শাড়ি বলে। ইক্কত শৈলীর ধাঁচে রং এবং ঐতিহ্যগত জ্যামিতিক নকশার কাজ এই শাড়ীকে জনপ্রিয় করেছে। বর্তমানে দক্ষ তাঁতশিল্পদের সহায়তায় এই জটিল জ্যামিতিক নকশাগুলিকে সুন্দর শাড়ি এবং বস্ত্র কে মাধ্যম করে উপাদান হিসাবে রূপায়িত হয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান সেবিকারাও বিশেষধরণের নকশা করা শাড়ি পড়ে যেটি পচাম্পালি শাড়ি। ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ প্রাচীন ইক্কত বয়নের অন্যতম কেন্দ্র ছিল। এই শাড়িটির নাম পচাম্পালি হলেও অন্ধ্রপ্রদেশে স্থানিয় ভাষায় এই শাড়িটিকে পগুদুবন্ধু, চিতকা এবং বুড্ডাভাশি বলে, তবে শাড়িটি পচাম্পালি শাড়ি নামে বেশি জনপ্রিয়। যে সব গ্রামে এই শাড়ি তৈরি হতো সাধারণত ঐ গ্রামগুলির মধ্যে একটি গ্রামের নাম অনুসারে এই নামটি রাখা হয়। পচাম্পালির ইক্কতের নকশা অন্যান্য ইক্কত নকশার থেকে একটি আলাদা বৈশিষ্ট্য আছে। প্রাচীনকালে যেইসব বয়ন কেন্দ্রগুলি ছিল সেগুলি বেশির ভাগই বিজয়বাড়া ও চেন্নাইয়ের মধ্যবর্তী শহর চিরালা ও জেন্ত্রপেটায় অবস্থিত ছিল যদিও পরবর্তীকালে বিভিন্ন কারণ বসত এই কেন্দ্রগুলি বন্ধ হয় যায়। বর্তমানে বেশিরভাগ পচাম্পালি  শাড়ি তৈরি হয় বুনন গ্রামে কারণ এই গ্রামে ৫০০০ এর ও বেশি তাঁতযন্ত্র আছে। এই শাড়ি এত জনপ্রিয় হয় যে এটি ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানে ভারতীয় কিংবদন্তি শাড়ি বয়ন গুচ্ছ হিসাবে স্থান করে নেয়। বর্তমানে বয়ন শিল্পটি নালগন্ডা জেলার পচাম্পালি, কয়ালগুদাম, চোউতুপল্লা, স্রিরপুরম, ভুবনগিরি, চুইগোট্টালা এবং গলতেপেল্লা ও আরো কিছু নিকটবর্তী গ্রামে বেঁচে আছে। ইক্কতের আর এক প্রকার হল দ্বিগুন ইক্কত যা পচাম্পালি ইক্কতের স্বতন্ত্র জটিল নকশা এবং  বুননের জালের দুইদিকের  সুতাগুলিকে প্রথমে রং ও পরে বয়ন করে তৈরি করা হয়। সুতী, সিল্ক, সিক, সুক্ষা রেশম এবং তুলা একসঙ্গে মিশিয়ে বুনন তৈরি হয় এবং এই রং গুলো প্রাকৃতিক উৎস থেকে নেওয়া হয়। ২০০৫ সালে এই শাড়ি ভৌগলিক ইঙ্গিতের মর্যাদা পায়। পচাম্পালি ইক্কত পচাম্পালি হ্যান্ডলুম তাঁতি সমবায় সমিতি লিমিটেড এবং পচাম্পালি হ্যান্ডলুম টাই এন্ড ডাই সিল্ক শাড়ি প্রস্তুতকারক সমিতির নথিভুক্ত সম্পত্তি। রাহুল মিশ্র যিনি কিনা একজন বিখ্যাত ডিজাইনার তিনিও এই নকশার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে এই নকশায় আগ্রহ দেখিয়েচ্ছেন। এই পোষাক এত বিখ্যাত যে সমস্ত ভারতে অবস্থিত তাজ হোটেলের এক্সক্লুসিভ তাজ খাজানা দোকানে এই ধরণের নকশার পোশাক বিক্রি হচ্ছে।

Leave a Reply

avatar
  Subscribe  
Notify of