ফলের মধ্যে একটি উল্লেখ্যযোগ্য ফল হল কলা, এই কলা বিভিন্ন প্রজাতির হয় থাকে, তার মধ্যে একটি অন্যতম প্রজাতি হল নাঞ্জানাগড় কলা। এই কলা সাধারণত কর্ণাটক প্রদেশের চামারাজ নগর ও মাইসরু জেলায় চাষ হয়। এই কলা স্বাদে গন্ধে ও গঠনে অতুলনীয়। এই কলার পরিপূনতার প্রধান কারণ হল সঠিক মাত্রায় সারের ব্যবহার। এই কলাটি জনপ্রিয় হওয়ায় সরকার এই কলাকে ভারতের ভৌগলিক নিদর্শনের ইঙ্গিত হিসাবে নিবন্ধিত করে।
এই কলার স্বাদ, গন্ধ ও গঠন এটিকে অন্যান্য কলার থেকে পৃথক করে দেয়। এই কলা দক্ষতার সাথে উৎপাদিত ও উন্নতমানের রাসায়নিক সার ব্যবহৃত হয়। তবে এই কলার চাষ যদি পৃথিবীর অন্য কোথাও হয় তাহলে এই কলা বৃদ্ধি পেতে সময় লাগে ও আকারেও অনেক ছোট হয় এবং স্বাদও খুব একটা ভালো হয় না। তাই বলা যায় নাঞ্জানাগড় এর জিনগত বৈশিষ্ট্য এই কলাকে বাকি কলা থেকে আলাদা করেছে।
শুষ্ক ও আর্দ্র জলবায়ু এই কলা চাষের জন্য উপযোগী। তাই এই কলার বৃদ্ধির জন্য অক্ষাংশ ৩০ এন থেকে ৩০ এস বিশেষ উপযোগী।
১৯৯৯ সালের ধারা অনুসারে উদ্যানপালন বিভাগ ভারত সরকারের কাছে এই কলাকে ভৌগলিক অস্তিত্ব নিবন্ধনের অবেদন জানান। এই আবেদনের ৩ বছরপর ২০০৫ সালে এই কলাকে ভারত সরকার ভারতের ভৌগলিক অস্তিত্ব নিদর্শক হিসাবে স্বীকৃতি দেন।
Leave a Reply