গৃহস্থের অন্দরমহল থেকে হোটেল রেস্তরাতে নানাকাজের ক্ষেত্রে মানুষকে ছাপিয়ে যাচ্ছে মানুষ তৈরি যন্ত্র। এবার তার প্রভাব দেখা গেলো রেলে। বিশেষত মালগাড়িতে গার্ডের কাজে এখন মানুষের বদলে নিযুক্ত হতে চলেছে যন্ত্র, ফলে অচিরেই মানুষ্য গার্ডের স্থান হতে পারে এখন ইতিহাসের পাতায়।
রেলসূত্র থেকে যানা গেছে এই যন্ত্রটির নাম ‘এন্ড টু ট্রেন টেলিমেট্রি’, খরচ এড়াতেই রেলবোর্ডের এই সিন্ধান্ত। তবে রেলবোর্ড থেকে এও জানা গেছে যে, এক দফায় সব গাড়ির গার্ড প্রত্যাহার করা হচ্ছে না। সর্বপ্রথম ১০০ কোটি টাকার গ্লোবাল টেন্ডার ডেকে এক হাজার মাল্গাড়িতে বসানো হবে এই যন্ত্র।
এই যন্ত্রটি দুটি অংশে বিভক্ত। একটি অংশ থাকবে ট্রেন চালকের কেবিনে যেটির নাম ‘ক্যাব ডিসল্পে ইউনিট’ আর দ্বিতীয় অংশটির নাম ‘সেন্স অ্যান্ড ব্রেক ইউনিট’ যেটি বসানো হবে ট্রেনের শেষ কামরায়। এই যন্ত্রটি ট্রেনের দুটি প্রান্তের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে। রেলকর্তারা জানায় এই যন্ত্রটি কিছু সময় অন্তর অন্তর চালকের কাছে তথ্য পাঠাবে। তাছাড়া কোন কারণে যদি ট্রেনের পিছনের কামরাগুলি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে তাহলে তক্ষনাৎ যন্ত্রটি চালকের ডিসপ্লে ইউনিটে পাঠিয়ে দেবে। গার্ডের কামরায় লাগানো যন্ত্রটির সঙ্গে ব্রেক পাইপের সংযোগ থাকবে। ফলে যদি যন্ত্রটি কোনো দুঘটনার তথ্য পায় সঙ্গে সঙ্গে পাইপের হাওয়াবের করে দেবে এবং ট্রেন থেমে যাবে।
ফলে মালগাড়ির গার্ডদের কাজটি এই যন্ত্রটি করবে এবং সেইসব গার্ডদের নিযুক্ত করা হবে অন্যান্য পদে। মালগাড়িটিতে এই যন্ত্রটি সফল হলে এই যন্ত্রটি যাত্রীবাহি গাড়িতেও ব্যবহৃত হবে বলে রেলকর্তারা জানান। তবে এই গার্ড বক্স তুলে দেওয়ার কারণে রেলের সব শাখার রেলকর্মীরা আন্দোলনে নেমেছে। আর কারণে শেষ পর্যন্ত সেই সিন্ধান্ত থেকে পিছু হটে রেল মন্ত্রক।
গার্ড কাউন্সিলের আঞ্চলিক কার্যনির্বাহী সভাপতি দেবাশিস ভট্টাচার্য বলেন, “একটি যন্ত্র মানুষের বিকল্প হিসেবে কীভাবে কাজ করবে জানি না, নিরাপত্তার দিক থেকে এই সিন্ধান্ত ভয়ঙ্কর।”
Leave a Reply