‘বোস – আইনস্টাইন কনডেনসেট ‘ – বিজ্ঞানিরা তৈরি করলেন মহাশুন্যে

What are the World’s Population?
14/02/2020

‘বোস – আইনস্টাইন কনডেনসেট ‘ – বিজ্ঞানিরা তৈরি করলেন মহাশুন্যে

plasma bose einstein condesate image

পর্দাথের ‘পঞ্চত্বপ্রাপ্তি’ মহাশুন্যে

plasma bose einstein condesate image

বোস আইনস্টাইন কনডেনসেট কি ?

পর্দাথের পঞ্চম অবস্থা - বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলা হয় 'বোস - আইনস্টাইন কনডেনসেট ' - তা এ বার বিজ্ঞানিরা তৈরি করলেন মহাশুন্যে | পৃথিবীতে আবর্তনকারী 'ইন্টারন্যাটিনাল স্পেস স্টেশন' (এই এস এস ) আর মধ্যে বিজ্ঞানীরা বানালেন পর্দাথের সেই অবস্থা , যা প্রায় ১০০ বছর আগে উঠে এসেছিলো , আলবার্ট আইনস্টাইন এবং বাঙ্গালি বিজ্ঞানী আশ্চার্য সত্যেন্দ্রনাথ বসুর গবেষণায় |
cold atomic laboratory nasa cal images in space

পদার্থের কটি অবস্থা ?

পর্দাথের চার অবস্থা হলো - কঠিন , তরল , গ্যাসীয় এবং প্লাজমা | এই প্লাজমা , পর্দাথের উপাদানের আয়নিত অবস্থা | সে সব ছাড়িয়ে প্রায় এক শতাব্দী আগে পর্দাথের আর এক রকম অবস্থা উঠে এসেছিলো আইনস্টাইন ও বসুর গবেষণায় | সেটার নাম - ই 'বোস আইনস্টাইন কনডেনসেট ' (বি ই সি ) | ১৯৯৫ সালে আমেরিকার গবেষণাগারে প্রথম তৈরি হয়েছিল পর্দাথের এই পঞ্চম অবস্থা | বিজ্ঞানিরা এ বার দেখালেন , সেই অবস্থা মহাশুন্যেও একই রকম ভাবে অর্জন করা যায় | বি ই সি তৈরি করার একটা উপায় হলো , পর্দাথের অনুকে মাইনাস ২৭৩ .১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে (চরম শূন্য ) ঠান্ডা করা | যাতে অণুগুলোর নড়াচড়া প্রায় বন্ধ হয়ে যায় | কারণ , অনুর নড়াচড়াই আসলে উষ্ণতা | চরম শুন্য উষ্ণতায় নিয়ে গেলে অণুগুলো প্রায় স্থবির হয়ে যায় | এবং তখন অণুগুলো সবাই মিলে যেন একটাই অনু হয়ে যায় |
International-Space-Station-Image

মহাকাশে কেন বি. ই.. সি. তৈরি করা হল ?

পৃথিবীতে এ কান্ডটা ঘটালে বি ই সি টিকে থাকে এক সেকেন্ডের হাজার ভাগের এক ভাগ সময় | কিন্তু মহাশুন্যে বি এ সি - কে বিজ্ঞানীরা স্থায়ী করেছেন প্রায় এক সেকেন্ড | বিজ্ঞানী দলের প্রধান , ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি - র অধ্যাপক রবার্ট টমসন বলেছেন , মহাশুন্যে বি এ সি তৈরি করার সুবিধা অনেক | পৃথিবীতে যে বি এ সি দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হয় না , তার কারণ , এই গ্রহে গ্রাভিটি বা অভিকর্ষের পরিমান দারুন | কিন্তু মহাশুন্যে গ্রাভিটি প্রায় নেই বললেই চলে | তাই বিজ্ঞানীরা মুখিয়ে ছিলেন , মহাশুন্যে বি এ সি তৈরি করার লক্ষ্যে |
gravitational wave image

বি.ই.সি তৈরির কারণ কি ?

এত ক্ষণস্থায়ী , তবু বি ই সি তৈরি করার মুলে বিজ্ঞানীদের অনেক কারণ আছে | মহাকর্ষীয় তরঙ্গ , অথবা যাকে বিজ্ঞানীরা বলেন ডার্ক এনার্জি , সে সবের উৎসও নাকি বি ই সি | মহাকর্ষীয় তরঙ্গ হলো , শুন্যস্থান বা স্পেস - এর সংকোচন এবং প্রসারণ | আর ডার্ক এনার্জি হলো , মহাবিশ্বের ক্রমবর্ধমান প্রসারণ | যার সন্ধান পায়াছিলেন গবেষকেরা ১৯৯৮ সালে | পৃথিবীর গবেষণাগারে বি ই সি তৈরি করার সাফল্যে বিজ্ঞানীদের নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে কয়েক দশক আগে | নোবেল পেয়েছে বাকি দুই আবিষ্কার ও ( মহাকর্ষীয় তরঙ্গ ও ডার্ক এনার্জি ) |
Earth view from moon image

চাঁদে খনিজ উদ্ধারে বি.ই.সি ব্যবহার ?

বি ই সি তৈরিতে যুক্ত থাকা নোবেলজয়ী মার্কিন বিজ্ঞানী হোলস্গান ক্রাটারলি কয়েক বছর আগে কলকাতায় বক্তৃতা দিতে এসে সত্যেন্দ্রনাথ বসুর ঈশ্বর মিল লেনের বাড়িতে গিয়েছিলেন | তিনি দেখতে চেয়েছিলেন , প্রায় এক জন পদার্থবিদ কি করে পদার্থের পঞ্চম অবস্থা কল্পনায় আন্তে পেরেছিলেন | বি ই সি অনেক কিছুর সন্ধান দেবে | চাঁদের মাটির নিচে কী খনিজ আছে , তা - ও জানা যাবে বি ই সি গবেষণায় | সে কারণে , বি ই সি গবেষণায় বিজ্ঞানীদের মরণপণ আগ্রহ | এই এস এস - এ বি ই সি তৈরী করার প্রতিবেদন বেরিয়েছে আজ প্রকাশিত ' নেচার ' জার্নালে |

১১ জুন




Leave a Reply

avatar
  Subscribe  
Notify of