সমুদ্র তীরবর্তী শহরের হোটেলগুলিতে এখন এমন একটি নতুন সফটওইয়্যার প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে যা থেকে হোটেলে আসা পর্যটকদের সব তথ্য জানতে পারবে পুলিশ।
দিঘা, শঙ্করপুর, মন্দারমনি, তাজপুর, চাঁদপুর সৈকতের সব হোটেলই এই সফটওইয়্যার ব্যবহৃত হবে যা যুক্ত থাকবে নিকটবর্তী থানাগুলির সাথে। হোটেলে কোনো পর্যটক এলে তার নাম, ঠিকানা প্রভৃতি তথ্য আপলোড হবে সেই সফটওয়্যারে। নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে প্রশাসন থেকে জানা যায়। তাই এবার থেকে অসাধু ব্যাক্তিরা হোটেল বুকিং এর সময় দুবার ভাববেন তার কারণ হোটেলের ঢোকা প্রতিটি মানুষের সবতথ্য থাকবে পুলিশের কাছে। তবে হোটেল মালিক্রা এ ব্যাপারে শ্বায় দিচ্ছেন না তাদের আশঙ্কা এই ব্যবস্থার ফলে ক্ষতি হতে পারে তাদের ব্যবস্থায়।
দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিইয়ার্স অয়াসোসিয়েশনের সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, “এখন প্রতিযোগিতার বাজার, তাই সব দিক খতিয়ে দেখতে হবে,” তাজপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি শান্তনু সাহার আবার বক্তব্য, “এই ব্যবস্থায় সব হোটেলের পূর্ণ সময়ের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর রাখতে হবে, এতে খরচও বাড়বে”।
কিন্তু পুলিশ অবশ্য বলছে, এই ভাবে তথ্য সংগ্রহ করলেই নিরাপত্তা অনেক বাড়ানো সম্ভব।
মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু বলেন, “১লা মার্চ থেকে এই ব্যবস্থা সমুদ্র সংলগ্ন সকল হোটেলের কার্যকর হবে, এর এই ব্যবস্থায় দুষ্কৃতীদের পাকরাও করার প্রধান হাতিয়ার। তবে পুলিশ এও বলেছে, যে এতে পর্যটকদের ব্যাক্তিগত তথ্য সুরক্ষিতই থাকবে।
পুলিশ সূত্রের খবর থেকে জানা যায় একটি বেসরকারি সংস্থা এই সফটওয়্যারটি বানিয়েছে, আগে হোটেলে চারজন পর্যটক এলে যে কোনো একজনের আধার কার্ড বা কোনও বৈধ পরিচয়পত্র নেওয়া হতো কিন্তু নতুন নিয়মে প্রত্যেক পর্যটকের নাম, বাবার নাম, ঠিকানা, পরিচয়পত্র হিসাবে কী নেওয়া হল, পর্যটক কীসে এলেন, কদিন থাকবেন সবি জানাতে হবে। পর্যটক হোটেল ছাড়ালে তাও এন্ট্রি করতে হবে।
রবিবার এই বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য দিঘার মোহনা থানার পুলিশ ও হোটেল মালিকরা একজোট হয়ে বৈঠক করেন। আবার শনিবার শঙ্করপুর, মন্দারমনি, তাজপুর ও চাঁদপুর পর্যটক কেন্দ্রের হোটেলের মালিকদের সাথে বৈঠক করেছেন মন্দারমনি উপকূল থানার পুলিশ।
Leave a Reply